হাত ! ভালবাসার গল্প !!!-hat bhalobasar galpo
হাত ! ভালবাসার গল্প !!!-hat bhalobasar galpo

আজকাল বিকেলগুলো অনেক লম্বা লাগে আবিরের। দশটাদিন আগেও তো চৈতির সাথে ফুরফুর করে পার হয়ে যেত বিকেলগুলো। কখনো সীমান্ত স্কয়ারের
সিড়িতে জমতো টোনাটুনির আড্ডা আবার কখনো ধানমন্ডির অলিতে গলিতে চলতো রাগ ভাঙ্গানোর পালা।


সন্ধ্যা হওয়ার আগেই বাড়ি ফেরার তাড়া থাকতো চৈতির।আবির একদম বাড়ির গলি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসতো চৈতিকে।চৈতি বাড়ির ভেতর ঢোকার আগ পর্যন্ত আবির দাঁড়িয়ে থাকতো গলির মাথায়। চৈতির চলে যাওয়ার পথের দিকে তাকালে বুকটা কেমন খালি খালি লাগতো আবিরের।
সেই চৈতি আজ দশদিন যাবত্‍ আবিরের কাছে নেই।একটা ছোট্ট একটা ভুল বোঝাবুঝি দু’জনকে আজ অনেক দূরে ঠেলে দিয়েছে। সম্পর্কটা চৈতিই শেষ করেছে তাই হয়তোবা আর ফিরে আসার উপায় নেই!
আবির অবশ্য তা আশাও করেনা।শুধু মাঝে মাঝে ভাবে,চৈতি কি আসলেই ভাল আছে নাকি ওর মতই ঠোঁটে একটা নকল হাসি ঝুলিয়ে রাখে সারাক্ষণ?
বন্ধুরাও এই দশদিনে ফোন করে বেশ খোঁজ-খবর নিচ্ছে।রুমন তো ফোন করে রীতিমত গালিগালাজ শুরু করলো,’কিরে হারামজাদা?
মাইয়া হয়া গেলি নাকি?বাসা থেইকা বাইর হস না ক্যান?বাইর হ খালি।তোর চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করুম!’
নাহ!এভাবে নিজেকে গৃহবন্দী করে রাখতে আর
ভাল লাগছে না আবিরের।কিন্তু,ঘর থেকে বের
হয়ে ঠিক করতে পারলো না কোথায় যাবে সে।
এত বড় পৃথিবী অথচ যাওয়ার কোন জায়গা নেই! ভাবতে ভাবতে সীমান্ত স্কয়ারের সিড়িতে বসে পড়লো সে।হঠাত্‍ করে পরিচিত মেয়েলি গলা শুনে পাশে তাকাতেই দেখে চৈতি খুব
রেগে তাকিয়ে আছে ওর দিকে।
ভূত দেখার মত চমকে ওঠে আবির।তোঁতলাতে
তোঁতলাতে বলে,’তু-তুমি!!এখানে কি করো?’
-তোমার জন্যই তো এলাম।
-মানে!?
-রোজই তো এসে বসে থাকি।কিন্তু তুমিই তো
বাড়িতে বসে ডিম পাড়ো!
-এসবের মানে কি? একটাবার কল দিয়ে বলা যেত না?
-বলতে ইচ্ছে হয়নি তাই বলিনি। এখন এত কথা না বলে আপনি কি আমার হাতটা খুব শক্ত
করে ধরবেন?
আবির একটু লজ্জাই পেয়ে যায়।তবুও শক্ত করে চৈতির হাতটা ধরে।এই হাতটাই যে তাকে যে তাকে ধরে রাখতে হবে সারাজীবন!
Please Rate This Post