![]() |
| ফাজলামো করবে না-fajlamo korbe na |
জান কি করো?(মেয়ে)
>এইতো জান.. তোমাকে মিস করছি..
>একদম ফাজলামো করবে না…
>ফাজলামো নয়, সত্যিই… আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে তোমাকে ভাবছি…
>আবারো…..! আচ্ছা চল আমরা কালকে মিট করি…
>এইতো জান.. তোমাকে মিস করছি..
>একদম ফাজলামো করবে না…
>ফাজলামো নয়, সত্যিই… আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে তোমাকে ভাবছি…
>আবারো…..! আচ্ছা চল আমরা কালকে মিট করি…
>সত্যি বলছো…..! কালকে কোথায় আসতে হবে? কখন আসতে হবে?
>কালকে সকাল 10.30 এর সময় ___ পার্কে চলে আসবে…. আর হ্যা, নীল টি-শার্ট পরে আসবে কিন্তু….
>ওকে জান.. কিন্তু তোমাকে চিনবো কি করে?
>আমিও নীল থ্রী পিছ পরে আসবো…..
>আচ্ছা জান বাই… গুড নাইট.. কালকে দেখা হবে.
>ওকে জান.. গুড নাইট…
.
ফেসবুকে চেটিং করছিল নিরব ও পিয়ন্তী.. তাদের পরিচয় হয়েছিল মাএ 1 মাস আগে, ফেসবুক থেকে তাদের পরিচয়.. আর সামান্য সময়েই নিরব ও পিয়ন্তীর সম্পর্ক রিলেশনে গড়ায়….
.
নিরব হল উচুঁ পরিবারের সন্তান.. তার বাবা একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী.. নিরব তার বাবার একমাএ সন্তান(আদরের দুলাল)…
আর পিয়ন্তী মিরপুর 2 এ থাকে, দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী, বাবা সরকারী কর্মচারী.. আর পিয়ন্তী সম্পর্কে নিরবের ধারনা এটুকুই ছিল… আর কাল তারা প্রথম মিট করতে যাচ্ছে….
.
নিরব প্রতিদিন ঘুম থেকে দেড়িতে ওঠে.. আজ সে তার জীবনের প্রথম কোনো মেয়ের সাথে দেখা করবে তাই, মনে খুব উৎফুল্ল হয়ে আছে.. তাই ফোনে এর্লাম দিয়ে রেখেছে…
.
সকাল 7.30 নিরব এর ফোনে এর্লাম বাজছে.. এর্লাম এর প্রচন্ড শব্দে নিরবের ঘুম ভাঙ্গে.. ও বিছানার উপর বসে আছে… আসলেই মাথার ভিতরে কোনো তীক্ষ্ন চিন্তা থাকলে সব কিছুই যেন মস্তিষ্ক স্বরন করিয়ে দেয়…হয়ত তেমনি নিরব এর ক্ষেত্রে হয়েছে…
নিরব বিছানা ছেড়ে উঠে ফ্রেশ হওয়ার জন্য বাথরুমে চলে যায়…
.
নিরব এখন সম্পূর্ন প্রস্তুত হয়ে, বিছানায় বসে, হাতে ফোন নিয়ে এক এক করে প্রহর গুনছে কখন 10.00 বাজবে, আর ও পার্কের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে… মনে খুব আবেগ চাপা অবস্থায় বসে আছে আর একটু পর পর মোবাইলে টার্চ করছে… আজ আবেগের উৎফুল্লতার কারনে খাবার খেতেও অনাগ্রহ অনুভব করছে…
সময় গড়িয়ে এসেছে তাই খাবার না খেয়েই পার্কের উদ্দেশ্যে রওনা হয় নিরব…
.
দূরভাগ্যের কারনে রাস্তায় জ্যাম এ, গড়িয়ে গেল কিছু সময় শেষে 10.35 এ পার্কের সামনে পৌছায় নিরব… পার্কের সামনে গিয়ে যেন ওর আবেগ দ্বিগুন হয়ে গেল.. আবেগ জর্জরিত চাপা মন নিয়ে এক পা, এক পা করে পার্কের ভিতরে এগুচ্ছে নিরব… হঠাৎ যেন রাস্তা তাকে বাধা প্রদান করলো… তারপরেও আবেগ মাখা মন নিয়ে সামনে এগুচ্ছে…
.
কিছুদূর আগানোর পড়ে, অদূরে একটি আম গাছের নিচে পাঁকা বেঞ্জে নীল রংয়ের জামা পরিধানকৃত কেউ একজনকে দেখতে পেল নিরব… আশে পাশে চোখ বুলিয়ে নিল, নীল রং পরিধান করা আর কোনো মেয়ে আছে কিনা? নাহ, নেই…. নিরব একটু নিশ্চিত হয়ে নীল রং পরিধানকৃত মেয়েটির দিকে অগ্রসর হতে লাগলো….
.
নিরব পিয়ন্তীর নিকটে যেয়ে, হালকা স্বরে বললো..
>আমি যদি ভুল না করি তাহলে, আপনি পিয়ন্তী..
>জ্বী, আমি পিয়ন্তী.. আপনি নিরব?
>হ্যা, কেমন আছো পিয়ন্তী?
>জ্বী, ভাল..
.
নিরব যেন তার গুছিয়ে রাখা কথাগুলো হারিয়ে ফেলেছে, পিয়ন্তীর দিকে তাকাতেও লজ্জা বোধ করছে.. তাই একটু নিরবতা…
পিয়ন্তী নিরবতা ভেঙ্গে বলা শুরু করলো…
>আচ্ছা নিরব, তুমি কি আমাকে লজ্জা বোধ করছো?
>না, মানে…….প্রথমতো..
>তাহলে অন্য দিকে তাকিয়ে আছো কেন?
.
নিরব চুপ করে চোখ ঘুরিয়ে, পিয়ন্তির দিকে তাকানোর চেষ্টা করছে… পিয়ন্তী ফোন হাতে নিয়ে কোনো এক নাম্বারে কল দিচ্ছিলো….
>আচ্ছা, চল আমরা একটু ঐ দিকটায় যাই..,(পিয়ন্তী)
>কেন? এ খানটাইতো ভাল ছিল…
>উমমমম…, আমার কাছে এখানটা কেমন যেনো ভাল লাগছে না…
>আচ্ছা, চল….
.
নিরব ও পিয়ন্তী হাটতে হাটতে পার্কের একটু আড়ালে চলে যায়… ঘন আম গাছ, মধ্যে সরু পাকা রাস্তা, পাশে শেওলা যুক্ত দেয়াল, আসে পাশে জনশূন্য মনে হচ্ছিল…..
.
হঠাৎ পিয়ন্তীর ইশারায় কয়েকজন যুবকের আগমন ঘটল (বয়স 19-20)…. তারা এসেই ঠাস ঠাস নিরবের গালে… অতপর যা হওয়ার তাই হলো, তবে নিরব এখন পার্কের বাইরে শুধু পরিধানকৃত পোষাক সঙ্গে…
.
রিলেশন ফাঁদ থেকে সাবধান যুবক/যুবতী, সাবধান ফেসবুকার.. নিজে সচেতন হও অন্যকে সচেতন কর.
>কালকে সকাল 10.30 এর সময় ___ পার্কে চলে আসবে…. আর হ্যা, নীল টি-শার্ট পরে আসবে কিন্তু….
>ওকে জান.. কিন্তু তোমাকে চিনবো কি করে?
>আমিও নীল থ্রী পিছ পরে আসবো…..
>আচ্ছা জান বাই… গুড নাইট.. কালকে দেখা হবে.
>ওকে জান.. গুড নাইট…
.
ফেসবুকে চেটিং করছিল নিরব ও পিয়ন্তী.. তাদের পরিচয় হয়েছিল মাএ 1 মাস আগে, ফেসবুক থেকে তাদের পরিচয়.. আর সামান্য সময়েই নিরব ও পিয়ন্তীর সম্পর্ক রিলেশনে গড়ায়….
.
নিরব হল উচুঁ পরিবারের সন্তান.. তার বাবা একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী.. নিরব তার বাবার একমাএ সন্তান(আদরের দুলাল)…
আর পিয়ন্তী মিরপুর 2 এ থাকে, দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী, বাবা সরকারী কর্মচারী.. আর পিয়ন্তী সম্পর্কে নিরবের ধারনা এটুকুই ছিল… আর কাল তারা প্রথম মিট করতে যাচ্ছে….
.
নিরব প্রতিদিন ঘুম থেকে দেড়িতে ওঠে.. আজ সে তার জীবনের প্রথম কোনো মেয়ের সাথে দেখা করবে তাই, মনে খুব উৎফুল্ল হয়ে আছে.. তাই ফোনে এর্লাম দিয়ে রেখেছে…
.
সকাল 7.30 নিরব এর ফোনে এর্লাম বাজছে.. এর্লাম এর প্রচন্ড শব্দে নিরবের ঘুম ভাঙ্গে.. ও বিছানার উপর বসে আছে… আসলেই মাথার ভিতরে কোনো তীক্ষ্ন চিন্তা থাকলে সব কিছুই যেন মস্তিষ্ক স্বরন করিয়ে দেয়…হয়ত তেমনি নিরব এর ক্ষেত্রে হয়েছে…
নিরব বিছানা ছেড়ে উঠে ফ্রেশ হওয়ার জন্য বাথরুমে চলে যায়…
.
নিরব এখন সম্পূর্ন প্রস্তুত হয়ে, বিছানায় বসে, হাতে ফোন নিয়ে এক এক করে প্রহর গুনছে কখন 10.00 বাজবে, আর ও পার্কের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে… মনে খুব আবেগ চাপা অবস্থায় বসে আছে আর একটু পর পর মোবাইলে টার্চ করছে… আজ আবেগের উৎফুল্লতার কারনে খাবার খেতেও অনাগ্রহ অনুভব করছে…
সময় গড়িয়ে এসেছে তাই খাবার না খেয়েই পার্কের উদ্দেশ্যে রওনা হয় নিরব…
.
দূরভাগ্যের কারনে রাস্তায় জ্যাম এ, গড়িয়ে গেল কিছু সময় শেষে 10.35 এ পার্কের সামনে পৌছায় নিরব… পার্কের সামনে গিয়ে যেন ওর আবেগ দ্বিগুন হয়ে গেল.. আবেগ জর্জরিত চাপা মন নিয়ে এক পা, এক পা করে পার্কের ভিতরে এগুচ্ছে নিরব… হঠাৎ যেন রাস্তা তাকে বাধা প্রদান করলো… তারপরেও আবেগ মাখা মন নিয়ে সামনে এগুচ্ছে…
.
কিছুদূর আগানোর পড়ে, অদূরে একটি আম গাছের নিচে পাঁকা বেঞ্জে নীল রংয়ের জামা পরিধানকৃত কেউ একজনকে দেখতে পেল নিরব… আশে পাশে চোখ বুলিয়ে নিল, নীল রং পরিধান করা আর কোনো মেয়ে আছে কিনা? নাহ, নেই…. নিরব একটু নিশ্চিত হয়ে নীল রং পরিধানকৃত মেয়েটির দিকে অগ্রসর হতে লাগলো….
.
নিরব পিয়ন্তীর নিকটে যেয়ে, হালকা স্বরে বললো..
>আমি যদি ভুল না করি তাহলে, আপনি পিয়ন্তী..
>জ্বী, আমি পিয়ন্তী.. আপনি নিরব?
>হ্যা, কেমন আছো পিয়ন্তী?
>জ্বী, ভাল..
.
নিরব যেন তার গুছিয়ে রাখা কথাগুলো হারিয়ে ফেলেছে, পিয়ন্তীর দিকে তাকাতেও লজ্জা বোধ করছে.. তাই একটু নিরবতা…
পিয়ন্তী নিরবতা ভেঙ্গে বলা শুরু করলো…
>আচ্ছা নিরব, তুমি কি আমাকে লজ্জা বোধ করছো?
>না, মানে…….প্রথমতো..
>তাহলে অন্য দিকে তাকিয়ে আছো কেন?
.
নিরব চুপ করে চোখ ঘুরিয়ে, পিয়ন্তির দিকে তাকানোর চেষ্টা করছে… পিয়ন্তী ফোন হাতে নিয়ে কোনো এক নাম্বারে কল দিচ্ছিলো….
>আচ্ছা, চল আমরা একটু ঐ দিকটায় যাই..,(পিয়ন্তী)
>কেন? এ খানটাইতো ভাল ছিল…
>উমমমম…, আমার কাছে এখানটা কেমন যেনো ভাল লাগছে না…
>আচ্ছা, চল….
.
নিরব ও পিয়ন্তী হাটতে হাটতে পার্কের একটু আড়ালে চলে যায়… ঘন আম গাছ, মধ্যে সরু পাকা রাস্তা, পাশে শেওলা যুক্ত দেয়াল, আসে পাশে জনশূন্য মনে হচ্ছিল…..
.
হঠাৎ পিয়ন্তীর ইশারায় কয়েকজন যুবকের আগমন ঘটল (বয়স 19-20)…. তারা এসেই ঠাস ঠাস নিরবের গালে… অতপর যা হওয়ার তাই হলো, তবে নিরব এখন পার্কের বাইরে শুধু পরিধানকৃত পোষাক সঙ্গে…
.
রিলেশন ফাঁদ থেকে সাবধান যুবক/যুবতী, সাবধান ফেসবুকার.. নিজে সচেতন হও অন্যকে সচেতন কর.

0 Comments