মেয়েটা আমাকে-meyeta amake
মেয়েটা আমাকে-meyeta amake
মেয়েটা অামাকে ডাকার সাথে সাথে শালা হারামিগুলা মজা নিতে শুরু করে দিছে
মেয়েটা:আপনার নাম কি জানতে পারি?
আমি:জি না আপু, আপনি আসতে পারেন।


মেয়েটি: তার পাশের মেয়েটিকে বললো তোকে বলছিলাম না ছেলেটা different
পাশের মেয়েটি:হ্যা রে তুই ঠিক বলেছিস
মেয়েটি:এটাই হবে আমার মনের মানুষ, আমার রাজকুমার।
আমি ওদের সব কথা শুনতে পাচ্ছিলাম,কারণ অামিও ওদের সাথে হেটে হেটে অাসতেছিলাম
আলমগির: কিরে lacucha (ডেওয়ার scientific নামের প্রজাতিক পদ আমরা সবাই সবাইকে মজা করে এই নামেই ডাকি) মেয়েটা কি বললো তোকে?চিনিস নাকি মেয়েটিকে
আমি:আরে নাহ, আমি কেমন করে চিনবো
আলমগির: দোস্ত মেয়েটা কিন্তু খুবই ভালো। আমার এলাকার সবচেয়ে ভালো মেয়ে,কোনোদিন কোনো ছেলের সাথে কথা বলতে দেখিনি।তোর কপাল খুলছে মনে হয়।
আমি:যাহ শালা lacucha চল পড়তে বসি(এদিকে আমার মনের বেহাল অবস্থা খালি বারবার মেয়েটা কথাই মনে পড়তেছে)
রিসান:স্যার অাসসালামুঅালাইকুম,কেমন আছেন?
স্যার:জি ভালো অাপনারা কেমন অাছেন?( স্যার সবসময় অামাদেরকে অাপনি করেই বলে মাঝে মাঝে তুই করেও বলে)
আমি:হ্যা স্যার ভালো।
আরমান:তুই তো ভালো থাকবিই, তুই ভালো না থাকলে কে ভালো থাকবে।
স্যার:কেনো কি হয়েছে?
রিসান:আর বলিয়েন না স্যার, মাহিনের জন্য অলরেডি ধুতুরার রস তৈরি হয়ে গেছে।
স্যার:কি বলিস!!!!!
রিসান: হ্যা স্যার,,
এরপর যা হওয়ার তা হয়ে গেলো মানে আমার সব খবর “শেষ অালো” দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে গেলো।
আলিমগির বন্ধু আমার স্যারকে মেয়েটার সব কথা মানে গুনাগুন বলে দিলো
স্যার:মাহিন দেরি করে আর লাভ নেই তুইও অন্যদের মতো ধুতুরার রস খেয়ে নেয়ে,হা হা হা (স্যারের সেই ভুবন কাঁপানো বিখ্যাত হাসি)
কিছুদিন পর,,
অাবারও একই জায়গায় দাড়িয়ে অাছি
মেয়েটি:এই যে ভাইয়া এইদিক আসেন
আমি:জি বলেন।
মেয়েটি:ওই দিন তো সব শুনছেন,এখন আপনার মতামত কি?আচ্ছা মতামত জানাতে লাগবে না আগে আপনার মোবাইল নং টা দেন।
অামি:কি মেয়ে রে বাবা(মনে মনে)
মেয়েটি:কি হোলো দিন।
আমি:আচ্ছা নিন 017,,,,,,, (দিয়ে দিলাম কারণ মেয়েটার হাসিটা দেখেই আমি ফিদা হইছিলাম)
এরপর আমাদের দীর্ঘ পথচলা,,,,,,,,,
এই দেখেন আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে বিকাল 4’30 বেজে গেলো, যাই পাগলীর দেখা করে আসি, নাহলে আবার কেঁদে কেঁদে চোখ লাল করে ফেলবে।
আমি:শুভ বিকাল অবনি বাবুটা।
অবনি:শুভ বিকাল।
আমি:কেমন আছে আমার অবনি বাবুটা। দেখি(কপালে হাত দিয়ে দেখলাম না জর তো আসে নি,আসল রোগটা কোথায় সেটা তো অামি জানি)
অবনি:না আমি ঠিক অাছি।তুমি তো খুব খুশি,খুব ভালো আছো তাই না।নতুন জিবন শুরু করবা, নতুন কেউ আসবে তোমার লাইফে,,,,,
আমি:অবনি বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু(কিছুটা রেগে)
অবনি:আচ্ছা রাজশাহীতে যাওয়ার পর কেউ যদি তোমার লাইফে আসে তুমি কি তাকে গ্রহন করবা?
আমি:কোনোদিন না,তাহলে আমার অবনি বাবুটার কি হবে,আর আমার অবনি বাবুটার মতো করে কেউ আমাকে ভালোবাসতে পারবে না
অবনি:তাই না(একটু হেসে) এতই যদি ভালোবাসতেন তাহলে দেখতে পাচ্ছেন না আমাকে শীত লাগতেছে।
আমি:(আমার জ্যাকেট খুলে পাগলীটাকে পড়ায় দিলাম) হইছে এবার খুশিতো।
অবনি:(hmm খুশি অনেক খুশি!!!
আমি:এদিকে আমার অবস্থা কাহিল শীতে ঠকঠক করে কাপতেছি)
অবনি:একি তুমি শীতে কাপতেছ আমাকে বলবা না,,,(এই বলে ওর চাদরটা আমাকে পরায় দিলো)
আমি:ওই তোমার চাদর অাছে তাও আমার জ্যাকেট নিলা কেনো?
অবনি:এমনি বুদ্ধু কোথাকার বুঝেও না।
কিছুক্ষন পর,,
অবনি:বাবু আমার না খুব বেশি শীত লাগতেছে, এখন কি করবো?
আমি:জানি না।
অবনি:তোমার বুকে একটু জরিয়ে নাও
না প্লিজ।
এই বলে পাগলীটা আমার বুকে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে লাগলো।
আমি:কাদো কেনো?
অবনি:আমাকে ভুলে যাবা না তো।
আমি: কোনোদিন না বাবু।আমি শুধু তোমার।
অবনি:আচ্ছা এভাবে আর কিছুক্ষণ থাকি,
আমি:ok বাবুটা।
এরপর আমি রাজশাহীতে চলে আসলাম,,,, প্রতিদিন ফোনে কথা হতো পাগলীটার সাথে,,,, দূরে থাকার পরও
আমাদের ভালোবাসা কমেনি,, এভাবে আর কতদিন দেখতে দেখতে আমার অনার্স শেষ হোলো,,,, অাজ একটা কোম্পানিতে যোগদান করলাম বেতন মোটামুটি ভালই বলা চলে,পাগলীটাকে জানাইনি এখনো আজকে বাবা-মাকে নিয়ে যাবো পাগলীটার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে,, চমকে দিবো অামার অবনি বাবুটাকে….
Please Rate This Post