আম্মু বাসায় নেই
আম্মু বাসায় নেই
আসিফ,আম্মু বাসায় নেই।মামির বাসায় গেছে।ফোনে কথা বলবা….??
>>আচ্ছা দিতেছি
ডাটা অফ করে অরিত্রাকে ফোন দিলাম

>>হ্যাঁ অরিত্রা বল
>>কি কর….??
>>শুয়ে আছি।তুমি….??
>>বসে আছি।তোমার আব্বু,আম্মু কই…..???
>>আব্বু বাইরে গেছে।আর আম্মু আমার সাথেই শুয়ে আছে
>>কি বল…..???তোমার আম্মুর সামনেই কথা বলছ….???
>>হ্যাঁ বলছি তো….???
>>কিছু জিজ্ঞাসা করে না যে কে ফোন দিয়েছে…….???
>>নাহ
>>আল্লাহ……!!! আমার আম্মু হলে এতক্ষনে হাজারটা প্রশ্ন করে ফেলত
>>হ্যাঁ সেইটা তো জানিই।কিন্তু আমার আম্মু এমন না
>>আমার আম্মুটা যে কেন এমন হল না……!!!
>>হাহাহা।তোমার আম্মু তো আমাকে দেখতেই পারে না
>>হুম
>>আল্লাহ জানে কেন তোমার আম্মু আমার সাথে এমন করে
>>আমি নিজেও জানি না
>>আচ্ছা অরিত্রা আবার কবে দেখা করছি আমরা……???
>>সেইটা তো আমি সিউরলি বলতে পারতেছি না আসিফ
>>তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছে।
>>গত বুধবারেই না দেখলা আমাকে
>>মন তো ভরে নাই
>>তুমি যে কি আল্লাহ……!!!এত দেখ তারপরেও নাকি মন ভরে না….!!
>>এই অরিত্রা আব্বু বাসায় আসছে।আমি ফোন রাখছি।রাতে অনলাইনে কথা হবে
>>আচ্ছা ঠিকাছে যাও
>>আমি তোমার ফোনে ম্যাসেজ দিব নে
>>আচ্ছা বাই
.

অত:পর আব্বু ঘরে আসায় ফোনটা কেটে দিলাম।লাইনটা কেটে দিয়ে মোবাইলটা পাশে রেখে দিচ্ছিলাম হঠাত আব্বু রুমে এসে এইটা দেখে ফেলল।তারপরেই শুরু হল জ্ঞান দেয়া
”সারাটাদিন খালি মোবাইল আর মোবাইল।বাড়িতে তো আরো অনেক ছেলে আছে তোর মত এমন মোবাইল টিপতে দেখি নাই কাউরে।রাত দিন ২৪ ঘন্টা খালি মোবাইল আর মোবাইল।চোখগুলারে খাইতাসস এমন মোবাইল টিপে”
আব্বুর বলা শেষ হতে না হতেই আবার আম্মু শুরু করে দিল
”সব দোষ তোমার।মানা করছিলাম না এন্ড্রয়েড মোবাইল কিনে দিও না।আমার কথা তো শুনলা না।লেখাপড়ার কোনো খবর নাই।খালি মোবাইল।মোবাইল দিছো কিছু বলি নাই কিন্তু ল্যাপটপ কেন কিনে দিলা……??? একদিক দিয়া মোবাইলের চার্জ শেষ হয় অন্যদিকে ল্যাপটপ নিয়া বসে।মনে চায় মোবাইল আর ল্যাপটপ দুইটা মাটিতে আছাড় দিয়া ভাইঙ্গা ফেলি”….!!
আব্বু আম্মু অনবরত বলেই যাচ্ছে আর আমি মাথা নিচু করে শুনেই যাচ্ছি।বাবা,মা বকা দিলে সবার মন খারাপ হওয়ার কথা কিন্তু আমার……!! আমার মোটেই মন খারাপ হচ্ছে না।আমি তো হেঁসেই কুল পাচ্ছি না
আমার এমন হাসি দেখে আম্মু আরো ক্ষেপে গেল
.
>>দেখেছ অবস্থাটা…..?? এতকিছু বলছি তারপরেও বই নিয়ে টেবিলে যাচ্ছে না।দাঁত বের করে হাসছে।কিছু বলি না শুধু একমাত্র ছেলে দেখে।অনার্সে পড়ে একটু জ্ঞান থাকা উচিত যে আমাকে ভালো মত পড়তে হবে।লাই দিয়ে একেবারে মাথায় তুলে ফেলেছি।আমি আর পারছি না।তোমার ছেলে তুমিই সামলাও
.
এইটা বলে আম্মু আমার রুম থেকে চলে গেল।আব্বু এখনও দাঁড়িয়ে আছে আমার সামনে।
.
>>কিরে বসে আছিস কেন…..??? যা পড়তে বস
>>বসছি আব্বু।তুমি যাও আমি বসছি
>>আমি গেলে আবার মোবাইল হাতে নিবি তাই না…..???
>>নাহ।তুমি গেলেই আমি পড়তে বসব।কেউ সামনে থাকলে মুখ দিয়ে পড়া আসে না
>>আচ্ছা আমি যাচ্ছি।জলদি পড়তে বস
.
আব্বুও আমার রুম থেকে চলে গেল।মন খুলে একটু হেসে নিলাম।
প্রিন্সিপাল অফ একাউন্টিং বইটা নিয়ে টেবিলে বসলাম।বইটা খুললেই সবকিছু ঝাপ্সা ঝাপ্সা লাগে।আমি যদি কোনো সাবজেক্ট ভয় পেয়ে থাকি তাহলে এই একাউন্টিং ই।
.
রাত ৯:৪১
.
>>অরিত্রা
>>কি…..???
>>আই লাভ ইউ
>>মন ভালো নাকি খুব….???
>>হাহাহা
>>হাসছ কেন…..???
>>আরে তখন তোমার সাথে ফোনে কথা বললাম না সেইটা আব্বু দেখে ফেলেছে।তাই আব্বু আম্মু একটু বকা দিয়েছে
>>কিহহ…??? আব্বু আম্মু বকা দিলে মন খারাপ হবার কথা কিন্তু বকা শুনে তোমার মন ভাল….??? বুঝলাম নাহ ব্যপারটা
>>আরে আব্বু আম্মু সবসময়ই এমন করে।তাই কখনও মন খারাপ হয় না।উলটা আমার আরো হাসি পায় যখন তারা বকে
>>তুমি যে কি আল্লাহ……!! আজিব টাইপের ছেলে
>>তোমার ফিউচার জামাই
>>হু
>>জানু….
>>তোমাকে না বলছি আমাকে জানু বলবা না….!!
>>কেন জানু বলব না কেন….???
>>নামটা কমন হয়ে গেছে।তোমাকে না বলছি বাবুনী বলে ডাকবা আমাকে
>>ও হ্যাঁ ভুলেই গিয়েছিলাম
>>হ্যাঁ সেইটা তো ভুলবাই কিন্তু মেয়েদের সাথে চ্যাট করতে তো ভুলো না
>>কি বল…..??? আমি মেয়েদের সাথে চ্যাট করি….???
>>হ্যাঁ করই তো
>>আমার ম্যাসেঞ্জারে ঢুকে দেখ
>>আরে এমনি বললাম।রাগ কর কেন…..??
>>রাগ করি নাই
>>লাভ ইউ পিচ্চি
>>কিহহ…..??? আমি পিচ্চি…..???
>>হ্যাঁ তুমি তো পিচ্চিই
>>তুমি পিচ্চি
>>না তুমি পিচ্চি
>>লাভ ইউ বাবুনী
>>লাভ ইউ টু পিচ্চি
>>আবার পিচ্চি…..???
>>তুমি আমার পিচ্চি জামাই
>>তাহলে তুমি আমার বুড়ি বউ…..!! (ভেংচি ইমো দিয়ে)
>>কি আমি বুড়ি…..???
>>হ্যাঁ তুমি তো বুড়িই
>>যাও তোমার সাথে আর কথা নেই
>>থাকতে পারবা তো…..???
>>ইইইইইই
>>হাহাহা
>>এই আম্মু ডাকছে ডিনার করার জন্য।তুমিও যাও ডিনার করে আসো
>>আচ্ছা
>>আমি গেলাম
>>এই শোনো না
>>আবার কি…???
>>উম্মমাহহ
>>চুপ বজ্জাত ছেলে
>>আমায় একটা দাও না
>>পারব না। আমি গেলাম বাই
>>যাও বুড়ি
.
অত:পর বড় করে একটা রাগের ইমো দিয়ে অরিত্রা হোয়াটস এপ থেকে চলে গেল।অরিত্রা চলে যাওয়াতে আমিও অনলাইন থেকে বেড়িয়ে আসলাম।অরিত্রাকে ছাড়া অনলাইনটা কেমন যেন একা একা লাগে…..!!!
অনলাইন থেকে এসে রাতের খাবারটা খেয়ে নিলাম।খেয়ে আবার একাউন্টিং করা শুরু করলাম। পরশুদিন পরিক্ষা।এত পরিক্ষা দিতে আর ভালো লাগে না।জীবনটা তামা তামা বানায় দিল এই পরিক্ষা…….!!
.
রাত ১১:৪৭
.
কানে এয়ারফোন লাগিয়ে গান শুনছিলাম আর একাউন্টিং করছিলাম।আইডিয়াটা মন্দ না।একদিকে অংক করাও হবে অন্যদিকে সামান্য বিনোদনও নেয়া হবে।
তবে এই বিনোদন নেয়ার সময় কখন যে আম্মু আমার পিছনে এসে দাঁড়িয়ে আছেন সেইটা খেয়ালই করি নি।কাঁধে কেউ হাত রাখাতে বুঝতে পারলাম আব্বু নয়ত আম্মু পিছনে আছে।
পিছন ফিরে দেখি আম্মু।কান থেকে এয়ারফোন খুলে ফেললাম
.
>>কয়টা ডাক দিছি তোরে……???
>>আ…আ…আম্মু আমি তো ইউটিউব থেকে একটা একাউন্টিং বইয়ের ভিডিও নামিয়ে দেখছিলাম
>>তাই…..??
>>হ্যাঁ তাই আম্মু।এজন্যই তো তোমার ডাক শুনি নি
>>একটা চড় দিয়ে তোর সবগুলা দাঁত ফেলে দিব ফাজিল জানি কোথাকার।পড়ার সময়ও তোর এয়ারফোন কানে লাগাতে হয়…..??? দে এয়ারফোন দে। এখনই দে।আজকে এইটা ছিড়েই ফেলব
.
আম্মু আমার এয়ারফোন নেয়ার জন্য হাত বাড়িয়েছিল কিন্তু ততক্ষনে আমি এয়ারফোনটা নিজের আয়ত্বে এনে ফেলেছি
.
>>দে এয়ারফোন দে বলছি
>>জানো এইটার দাম কত…..???
>>কত….???
>>এক হাজার টাকা।এইটা আপুর আইফোনের এয়ারফোন।ছিড়ে ফেললে আমাকে বকা দিবে
>>দেক বকা।তুই দে
>>আমি ঘুমামু।তুমি যাও তো
.
বই অফ করে সোজা বিছানায় শুয়ে পরেছি।আমি বিছানায় যাওয়ার পর আম্মু আমার রুমের লাইট নিভিয়ে চলে গেলেন।
.
সকালবেলা ফোনের কাঁপুনিতে কাঁচা ঘুমটা ভেঙে গেল।মেজাজটা খারাপ হয়ে গেছে।সকাল সকাল এতবার কেউ ফোন দেয়……??
বালিশের নিচে থেকে ফোনটা বের করে দেখলাম অরিত্রা ফোন দিয়েছে।২৬ টা মিসড কল…….!!! জলদি ফোন ব্যাক করলাম।কিছুক্ষন পর ও পাশ থেকে ফোনটা রিসিভ হল
.
>>হ্যালো অরিত্রা
>>কয়টা ফোন দিয়েছি তোমাকে…..???
>>২৬ টা
>>ফোন ধর নি কেন….??? কি করছিলে….???
>>সকালবেলা তো ঘুমাচ্ছিলাম
>>সকালবেলা…..??? কয়টা বাজে সে খেয়াল আছে তোমার…..???
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম ১০:৫৭।প্রায় ১১:০০ টার কাছাকাছি
.
>>না মানে ১১:০০ টা বাজে
>>আজকে কত তারিখ সেইটা মনে আছে তো…..???
>>হ্যাঁ। আজ ২৬ তারিখ
>>আজকে কোনো স্পেশাল দিন কি….???
>>নাহ।আজকে আবার কোন স্পেশাল দিন হবে……???
>>অহহ আচ্ছা তুমি ঘুমাও।বিরক্ত করার জন্য স্যরি
>>আরে তুমি রাগ করছ কেন…..???
>>বাই
.
অত:পর অরিত্রা ফোনটা কেটে দিল।ফোন কেটে যাবার পর আমি ভাবতেছি আজকে কোনো স্পেশাল দিন কিনা।নাহ আজকে তো কোনো স্পেশাল দিন না।আচ্ছা যাই হোক রাগ করেছে একটু পর রাগ কমে গেলে আপনা আপনি ই আমাকে কল দিবে।
.
হঠাত ফোনে একটা ম্যাসেজ আসল।ম্যাসেজটা অরিত্রারই ছিল।ম্যাসেজে ঠিক এমনটা লিখা ছিল
”আসিফ আজকে ২৬ শে জানুয়ারি।২০১৬ সালের এই দিনে আমাদের রিলেশন হয়েছিল।আমরা ভালোবাসার নতুন একটা অধ্যায়তে পা দিয়েছিলাম। আর আজকের এই স্পেশাল দিনটার কথাই তুমি ভুলে গেলে…….???রাতে ভেবেছিলাম তুমি আমাকে আগে উয়িশ করবে কিন্তু কর নি।রাগে আমিও করি নি।যাই হোক বিরক্ত করার জন্য স্যরি।ঘুমিয়ে ছিলে ঘুমাও।বিরক্ত করব না আর”
.
ম্যাসেজটা পড়ে মাথাটা এলোমেলো হয়ে গেল।ইশ আজকে না আমাদের রিলেশন হয়েছিল।আর আমি কিনা আজকের এই স্পেশাল দিনটার কথাই ভুলে গেলাম……!! ধ্যাত আমি আসলেই একটা স্টুপিড।
সাথে সাথে অরিত্রাকে ফোন দিলাম কিন্তু ততক্ষনে অরিত্রা তার ফোনের সুইচড অফ করে রেখে দিয়েছিল।
কি করা যায়…..??? হঠাত মাথায় আইডিয়া চলে আসল।জলদি বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।রেডি হয়ে সোজা রওয়ানা দিলাম অরিত্রাদের বাসায়।যদিও বাসার ভিতরে যেতে পারব না।ওখানে গিয়ে অরিত্রাকে কল করব এইটা ভেবে রওয়ানা দিলাম।
সকালের খাবার না খেয়েই বাসা থেকে বেড়িয়ে গেছি।আম্মু অনেক বলেছে কিন্তু এখন চিন্তা মাথায় নিয়ে আর যাই হোক খাওয়া হবে না।
.
আধাঘণ্টার মধ্যে অরিত্রাদের বাসায় চলে গেলাম।আমাদের বাসা থেকে অরিত্রাদের বাসা খুব বেশি দূরে না।
বাসার নিচে গিয়ে কল দিলাম অরিত্রাকে।নাহ ফোনটা খুলেছে।দুইবার ফোন বাজার পর অরিত্রা ফোনটা রিসিভ করল
.
>>ফোন দিয়েছ কেন……???
>>আমি তোমাদের বাসার নিচে আছি।রেডি হয়ে জলদি বের হও
>>কিহহহ……???? তুমি আমাদের বাসার নিচে…..???
>>হ্যাঁ
.
অরিত্রা তার রুমের বেলকুনীতে এসে দেখল আসলেই আমি নিচে দাঁড়িয়ে আছি।হাতে মাইর দেয়ার ইশারা করে অরিত্রা ভিতরে চলে গেল
.
>>আসিফ তুমি এইখানে কেন…..??? কেউ দেখলে প্রবলেম হবে
>>তুমি জলদি আসো নিচে।ওয়েট করতেছি
>>উফফ তুমি না…..!!! আচ্ছা আসছি তুমি দাঁড়াও
.
নিচে অরিত্রার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।মিনিট পাঁচেক পর অরিত্রা নিচে আসল।আমাকে হাতে ইশারা করল একটু দূরে যাবার জন্য।আমি আগে আগে হাঁটছি আর অরিত্রা আমার পিছু পিছু আসছে।
একটু পর একটা রিকশায় উঠে গেলাম আমি।অরিত্রা দ্রুত হেঁটে আমার সাথে রিকশায় উঠে বসে পড়ল
.
>>আসিফ এইসব পাগলামি করার কোনো মানে হয়। তুমি এইখানে আসছ কেউ যদি দেখে তাহলে আমার অবস্থা তো খারাপ হবেই সাথে তোমারও
>>ভালোবাসি তোমাকে।এত ভয় কিসের…..???
>>উফফফ তুমি পারোও বাবা
>>এই মামা পার্কের দিকে যাও তো রিকশাওয়ালা মামাকে একটা পার্কের নাম বললাম সেখানে যাবার জন্য।১৫ মিনিট পর পার্কে চলে গেলাম।
.
দুইজন পাশাপাশি বসে আছি একটা বেঞ্চিতে।বেশ ভালোই লাগছিল।অরিত্রার মাথাটা আমার কাঁধের উপর ছিল
.
>>আসিফ…??
>>কি…..????
>>তুমি এত পাগল কেন…..???
>>তোমার জন্য পাগল
>>চুপ
>>ফোন বন্ধ করে রেখেছিলে কেন…..???
>>ইচ্ছে হয়েছে তাই রেখেছিলাম তাই বলে তুমি এখানে চলে আসবা…..???
>>হ্যাঁ আসবই তো
>>তোমাকে নিয়ে আর পারলাম না আমি
>>পারবাও না হাহাহা
>>চুপ
.
>>অরিত্রা
>>হুম
>>খুব ভালোবাসো আমাকে তাই না…..???
>>না ভালোবাসি না।একটুও ভালোবাসি না
>>বললেই হল নাকি বাসি না…..!!
>>বাসি না বাসি না বাসি না
>>তোমার মাথা
>>চুপ একটাও কথা বলবা না তুমি
>>আমি যদি কখনও না থাকি তখন কি করবা…..???
কথাটা বলার পর অরিত্রা আমার কাঁধ থেকে মাথাটা সরিয়ে ফেলল।বাঁকা চোখে আমারদিকে তাকিয়ে বলল
.
>>কি বললা তুমি….???
>>না মানে আমি তো এমনি বলছি।
.
অরিত্রার বাঁকা চোখের চাহুনি দেখে সত্যি ভয় পেয়ে গিয়েছি
.
>>আসিফ তোমার মুখে আর যাতে এইসব কথা না শুনি
>>আরে আমি তো এমনি বললাম
>>না এমনি আর কখনও বলবা না
>>আচ্ছা আচ্ছা আর বলব না
>>তুমি পারবে আমাকে ছাড়া থাকতে…..???
>>ভুলেও না
>>তো আর কখনও এইসব কথা বলবা না
>>আই লাভ ইউ বাবুনী
>>হু আমিও
.
কথাটা বলে অরিত্রা আবার আমার কাঁধে তার মাথা এলিয়ে দিল।অরিত্রার হাতটা ছিল আমার হাতের উপর।
.
.
কিছু কিছু ভালো লাগার মুহূর্ত আছে যেইগুলা কখনও মুখে বলা যায় না। অনুভব করে নিতে হয়।