![]() |
| তাকিয়ে ছিলো |
তাকিয়ে ছিলো
মুখ ভার করে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো বৃষ্টি। আমাকে
চমকে দিয়ে হঠাৎ আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেই ফেললো , ” আমি
তোমাকে ভালোবাসি”। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি ততক্ষনে
বোকা বনে গেছি। চারিদিকে তাকিয়ে দেখলাম কেউ দেখছে
নাকি। কোনভাবে বৃষ্টির বাহুবন্ধন ছারিয়ে দৌড়ে পাশের ঘরে
আম্মুর কাছে গেলাম। সেখানে আম্মু আর বৃষ্টির মা গল্প
করছিলেন। আমি আম্মুর কোলে যেয়ে কাঁদো কাদোঁ হয়ে বলে
দিলাম, “আম্মু বৃষ্টি বলে ও নাকি আমাকে ভালোবাসে।
আমাকে ছারা নাকি বাঁচবে না। আমার এখন কি হবে আম্মু। ও কত
পঁচা মেয়ে।” আমি হাউ মাউ করে কেঁদেই ফেললাম। আমার
কান্না না থামিয়ে দুই মহিয়সী নারী তখন আমার কথা শুনে
অট্টহাসিতে ব্যাস্ত।
আমার বয়স তখন সাত কি আট বছর আর বৃষ্টি পাঁচের আশেপাশে।
সেই বয়সে আমি সুকুমার রায় কিংবা তিন গোয়েন্দা পড়ে
বিশাল জ্ঞানী আর বৃষ্টি সারাদিন বাংলা আর হিন্দি
সিনেমা দেখে ভীষন রোমান্টিক মেয়ে। আমাকে দেখলেই গান
শুরু করতো, ” তুম পাস আয়ে, ইউ মুজকো রায়ে… ” বৃষ্টির আচার
আচরন তেমন পছন্দ না করলেও বৃষ্টিকে ছারা আমার কোন উপায়
ছিল না। চারদেয়ালের বন্দী জীবনে বৃষ্টিই ছিল আমার খেলার
সাথী অথবা বলা যেতে পারে সবথেকে ভালো বন্ধু। আমি যখন
ওকে হারকিউলিসের অভিযানের গল্প শোনাতে চাইতাম ও
উল্টা আমাকে হিন্দী মুভির রিভিউ শুনিয়ে দিতো। খুব ভালো
নাচতে পারতো, হাত পা কোমড় দুলিয়ে নেচেও দেখাতো। মাঝে
মাঝে গলার ওড়না ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কি একরকমের নাচ দিত যা
সেই বয়সে আমার জ্ঞানের বাইরে ছিল। দু একবার সর্প
নাগিনের নাচ দেখার সৌভাগ্যও আমার হয়েছিল।
আমার সুহৃদয় সম্পন্না আম্মাজান বৃষ্টিকে অতিশয় পছন্দ করতেন।
বৃষ্টিকে ঘরে তোলার বেশ ইচ্ছেও তার মাঝে দেখা যেতো। হয়ত
সাথী অথবা বলা যেতে পারে সবথেকে ভালো বন্ধু। আমি যখন
ওকে হারকিউলিসের অভিযানের গল্প শোনাতে চাইতাম ও
উল্টা আমাকে হিন্দী মুভির রিভিউ শুনিয়ে দিতো। খুব ভালো
নাচতে পারতো, হাত পা কোমড় দুলিয়ে নেচেও দেখাতো। মাঝে
মাঝে গলার ওড়না ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কি একরকমের নাচ দিত যা
সেই বয়সে আমার জ্ঞানের বাইরে ছিল। দু একবার সর্প
নাগিনের নাচ দেখার সৌভাগ্যও আমার হয়েছিল।
আমার সুহৃদয় সম্পন্না আম্মাজান বৃষ্টিকে অতিশয় পছন্দ করতেন।
বৃষ্টিকে ঘরে তোলার বেশ ইচ্ছেও তার মাঝে দেখা যেতো। হয়ত
নিজের মেয়ে ছিলনা বিধায় এই দুষ্ট মেয়েটিকে অনেক বেশি
আদর করতেন। ছোট বেলা থেকে দেখেছি বৃষ্টি ওদের বাসায় না
থেকে আমাদের বাসাতেই থাকতো বেশি। বৃষ্টির বাবা মাঝে
মাঝে রসিকতা করে বলতেন, “এখন থেকেই এই বাড়িতে ঘর
সংসার বেঁধে ফেলেছো, যখন একেবারে তোমাকে এই বাড়িতে
পাঠিয়ে দেব তখনতো বাবা মা কে চিনবে না।” এই কথায় বৃষ্টি
লজ্জিত হওয়ার পরিবর্তে আমার দিকে তাকিয়ে হাফ ইঞ্চির
আদর করতেন। ছোট বেলা থেকে দেখেছি বৃষ্টি ওদের বাসায় না
থেকে আমাদের বাসাতেই থাকতো বেশি। বৃষ্টির বাবা মাঝে
মাঝে রসিকতা করে বলতেন, “এখন থেকেই এই বাড়িতে ঘর
সংসার বেঁধে ফেলেছো, যখন একেবারে তোমাকে এই বাড়িতে
পাঠিয়ে দেব তখনতো বাবা মা কে চিনবে না।” এই কথায় বৃষ্টি
লজ্জিত হওয়ার পরিবর্তে আমার দিকে তাকিয়ে হাফ ইঞ্চির
ঠোট দুই ইঞ্চি করে একটা হাসি দিতো। ওর সেই হাসির রহস্য
উদঘাটনের কোন আভাস আমি তখনো টিনটিন সিরিজে পাইনি।
এভাবেই দেখতে দেখতে বেশ কিছু বছর কেটে যায়। আমি তখন
দশম শ্রেনীতে পড়ি আর ও ক্লাস সেভেনে। তখনো আমাকে
জ্বালাতন করা থামেনি। ও যখন আমার দিকে এক দৃষ্টিতে
তাকিয়ে থাকতো, ওকে দেখতে আমার কেমন যেন কার্টুন কার্টুন
মনে হতো। হাতে পায়ে লম্বা হলেও দুষ্টামি কমেনি ওর। একদিন
পরীক্ষার আগে আমি কোচিং এ। ও কখন যে একটা লাভলেটার
লিখে আমার টেবিলে রেখে গেছে আমি জানতামই না। আমার
বাবা কখনো আমার খোঁজ খবর না নিলেও সেদিন কি মনে করে
আমার ঘরে যেয়ে এই ভয়ংকর মেয়ের লাভলেটার উদ্ধার করে।
আমি যখন বাসায় ফিরলাম দেখি যে দুই ফ্যামিলি একত্র হয়ে
উদঘাটনের কোন আভাস আমি তখনো টিনটিন সিরিজে পাইনি।
এভাবেই দেখতে দেখতে বেশ কিছু বছর কেটে যায়। আমি তখন
দশম শ্রেনীতে পড়ি আর ও ক্লাস সেভেনে। তখনো আমাকে
জ্বালাতন করা থামেনি। ও যখন আমার দিকে এক দৃষ্টিতে
তাকিয়ে থাকতো, ওকে দেখতে আমার কেমন যেন কার্টুন কার্টুন
মনে হতো। হাতে পায়ে লম্বা হলেও দুষ্টামি কমেনি ওর। একদিন
পরীক্ষার আগে আমি কোচিং এ। ও কখন যে একটা লাভলেটার
লিখে আমার টেবিলে রেখে গেছে আমি জানতামই না। আমার
বাবা কখনো আমার খোঁজ খবর না নিলেও সেদিন কি মনে করে
আমার ঘরে যেয়ে এই ভয়ংকর মেয়ের লাভলেটার উদ্ধার করে।
আমি যখন বাসায় ফিরলাম দেখি যে দুই ফ্যামিলি একত্র হয়ে
বসে আছে। আম্মু আমার দিকে লাভলেটারটা বাড়িয়ে দিলেন।
চিঠির শেষে ছোট্ট করে প্যাচের হাতে লেখা, ” ইতি , তোমার
ভালোবাসার বৃষ্টি।” আমি এবারও ঘটনার কিছু বুঝতে না পেরে
কেঁদেই ফেললাম, একটু পরে দেখি বৃষ্টিও আমার সাথে
কান্নাকাটি জুরে দিয়েছে। দুজনকে কান্না করতে দেখে দুজন
বাবা আর দুজন মা কিভাবে এত হাসতে পারে সেটাও আমি
এখনো বুঝতে পারি না।
এরই মাঝে বছর দুয়েক পেরিয়ে যায়। আমি কলেজে তখন ভবিষ্যত
গড়ায় ব্যাস্ত। নিক্তি আর ক্যালভিন স্কেলের সুক্ষ রিড খাতায়
টুকে স্যারকে দেখিয়ে মার্ক বাড়ানো ছারা তখন আর কোন
লক্ষ্য স্থির করতে পারছিলাম না। হঠাৎ করেই একদিন আমার
জন্মদিনে বৃষ্টির দেয়া গিফট দেখে ওর কথা মনে পরে গেলো।
কিছুদিন থেকে যে ও আমাকে জ্বালাতন করছে না সেটা আমি
বুঝতেই পারিনি। কেন যেন ওকে দেখতে খুব ইচ্ছে হলো সেদিন।
আর সেদিন বিকেলেই আমার জীবনের সব থেকে বড় হৃদকম্প
হয়েছিল, রিকটার স্কেলে পরিমাপ করলে যার মাত্রা নয়
ছারিয়ে যাবে।
সেদিন বিকেলে ছাদে বসে আমি ভাবছিলাম বৃষ্টির আবার
অসুখ করলো নাকি। নইলে যে মেয়ে সারাদিন আমার পাশে ঘুর
ঘুর করে সে হঠাৎ করে কোথায় চলে যাবে? হঠাৎ করেই দেখি
চিঠির শেষে ছোট্ট করে প্যাচের হাতে লেখা, ” ইতি , তোমার
ভালোবাসার বৃষ্টি।” আমি এবারও ঘটনার কিছু বুঝতে না পেরে
কেঁদেই ফেললাম, একটু পরে দেখি বৃষ্টিও আমার সাথে
কান্নাকাটি জুরে দিয়েছে। দুজনকে কান্না করতে দেখে দুজন
বাবা আর দুজন মা কিভাবে এত হাসতে পারে সেটাও আমি
এখনো বুঝতে পারি না।
এরই মাঝে বছর দুয়েক পেরিয়ে যায়। আমি কলেজে তখন ভবিষ্যত
গড়ায় ব্যাস্ত। নিক্তি আর ক্যালভিন স্কেলের সুক্ষ রিড খাতায়
টুকে স্যারকে দেখিয়ে মার্ক বাড়ানো ছারা তখন আর কোন
লক্ষ্য স্থির করতে পারছিলাম না। হঠাৎ করেই একদিন আমার
জন্মদিনে বৃষ্টির দেয়া গিফট দেখে ওর কথা মনে পরে গেলো।
কিছুদিন থেকে যে ও আমাকে জ্বালাতন করছে না সেটা আমি
বুঝতেই পারিনি। কেন যেন ওকে দেখতে খুব ইচ্ছে হলো সেদিন।
আর সেদিন বিকেলেই আমার জীবনের সব থেকে বড় হৃদকম্প
হয়েছিল, রিকটার স্কেলে পরিমাপ করলে যার মাত্রা নয়
ছারিয়ে যাবে।
সেদিন বিকেলে ছাদে বসে আমি ভাবছিলাম বৃষ্টির আবার
অসুখ করলো নাকি। নইলে যে মেয়ে সারাদিন আমার পাশে ঘুর
ঘুর করে সে হঠাৎ করে কোথায় চলে যাবে? হঠাৎ করেই দেখি
কোন একটা মেয়ে একটু দূরে দাঁড়িয়ে আমি যেদিকটায় তাকিয়ে
ছিলাম সেদিকে তাকিয়ে আছে। পড়নে লাল পারের শাড়ি,
ঠোঁটে হালকা লাল লিপস্টিক, চোখে বেশ করে কাজল দেয়া, চুল
ছেরে দেয়াতে মেয়েটাকে অন্যরকম সুন্দর লাগছিলো। ভালো
করে লক্ষ্য করে দেখলাম এইটা বৃষ্টি। আমি পুরাই আহাম্মক হয়ে
গেলাম। এই কয়দিনে বৃষ্টি কত বড় হয়ে গেছে,আবার তার উপরে
পুরাই অপ্সরী ছারিয়ে গেছে! আমি কাছে যেয়ে আস্তে করে
বললাম,” বৃষ্টি, তোকে আজ দেখতে খুব সুন্দর লাগছেরে, মনে
হচ্ছে আধোনীল আর আধো গোধূলীর আকাশ থেকে কোন
রাজকন্যা নেমে এসেছে” ; লজ্জায় টমেটোর মত মুখ করে দৌড়ে
পালিয়ে যায় বৃষ্টি।
এরপর আমার ধারে কাছেও ভিরতো না বৃষ্টি। কোন কারনে ভুল
করে যদি আমি ওর সামনে পরে যেতাম লজ্জায় মাথা নীচু করে
ছিলাম সেদিকে তাকিয়ে আছে। পড়নে লাল পারের শাড়ি,
ঠোঁটে হালকা লাল লিপস্টিক, চোখে বেশ করে কাজল দেয়া, চুল
ছেরে দেয়াতে মেয়েটাকে অন্যরকম সুন্দর লাগছিলো। ভালো
করে লক্ষ্য করে দেখলাম এইটা বৃষ্টি। আমি পুরাই আহাম্মক হয়ে
গেলাম। এই কয়দিনে বৃষ্টি কত বড় হয়ে গেছে,আবার তার উপরে
পুরাই অপ্সরী ছারিয়ে গেছে! আমি কাছে যেয়ে আস্তে করে
বললাম,” বৃষ্টি, তোকে আজ দেখতে খুব সুন্দর লাগছেরে, মনে
হচ্ছে আধোনীল আর আধো গোধূলীর আকাশ থেকে কোন
রাজকন্যা নেমে এসেছে” ; লজ্জায় টমেটোর মত মুখ করে দৌড়ে
পালিয়ে যায় বৃষ্টি।
এরপর আমার ধারে কাছেও ভিরতো না বৃষ্টি। কোন কারনে ভুল
করে যদি আমি ওর সামনে পরে যেতাম লজ্জায় মাথা নীচু করে
রাখতো। আমি এক সময় অনুভব করলাম এই মেয়েটার সাথে আমার
হৃদয়ের কোন সম্পর্ক আছে। আমি ঘুমাতে গেলে ঘুমাতে পারি না,
রাস্তায় হাটার সময় বিরবির করে কি যেন বলতে থাকি, বাসা
থেকে বের হওয়ার সময় বৃষ্টিদের বাসায় উঁকিঝুকি মারি ওকে
একটু দেখার আশায়। বুঝলাম আমি শ্যাষ।
এরই মধ্যে আমি চুয়েটে চান্স পেয়ে যাই। ঢাকায় হয়নি বলে মনে
তখন বিশাল ক্ষত। সবচেয়ে বেশি কস্ট হচ্ছিল বৃষ্টিকে দেখতে
পারব না ভেবে। ইচ্ছে ছিলো যাওয়ার আগে বৃষ্টিকে
ভালোবাসার কথা বলবো, কিন্তু আমার হৃদয়ের অপারেটিং
সিস্টেম থেকে বলতে লাগলো, ” আপনার বুকে যথেষ্ঠ পরিমান
সাহস জমা নেই, অনুগ্রহ পূর্বক রিচার্জ করে আবার আসুন,
ধন্যবাদ। ”
প্রতি সেমিস্টার শেষ করে সোজা ঢাকায় চলে যেতাম, কিন্তু
তখনো আমি সাহসের ফার্স্ট লেভেল পার করতে পারিনি।
টুকটাক কথা চলতো আমাদের, কিন্তু সাহস করে ভালোবাসি
শব্দটা বলতে পারতাম না। আমি তখন বুঝতে পারি যারা
সত্যিকারের ভালোবাসে , ভালোবাসার মানুষের কাছে
প্রথমবার এই শব্দটি বলা কতবড় দুষ্কর কাজ। কনকনে শীতের
মাঝেও ওকে দেখলে আমি ঘামিয়ে যেতাম। এভাবেই
লুকোচুরিতে চলতে থাকে দুটি মনের নিরন্তর ভালো লাগার
খেলা। কিন্তু হঠাৎ করেই সব কিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে
গেলো।
আমি তখন ফাইনাল দিয়েছি। দুইদিন পরে রেজাল্ট আসবে। আর
মাত্র দুইদিন পরে আমি গ্রাজুয়েট হতে যাচ্ছি ভাবতেই কেমন
যেন শিহরন জাগে গায়ে। এরই মধ্যে আমার মোবাইলে একটা
মেসেজ আসে। মেসেজে লিখা ছিলো, “কাল আমার বিয়ের
কথাবার্তা পাকা করবে। যদি ভালোবাসো ফিরে এসো; বৃষ্টি।”
আমি স্তদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। পাশে থেকে বন্ধু ইমন ঝুকে
পরে দিয়ে জিজ্ঞাসা করলো,” কিরে খিজ খাইলি কেন? কি
হইছে? ” আমি অস্ফুস্ট স্বরে শুধু বললাম ,” বৃষ্টির বিয়ে ।”
বন্ধু যে কত মহান হতে পারে আমি সেদিন হারেহারে বুঝতে
পেরেছিলাম। রাত সাড়ে চারটায় ইমন আমাকে নিয়ে
মোটরসাইকেল হাকিয়ে রওনা দিলো বাস কাউন্টারে। যেয়ে
দেখি লাস্ট বাস ছেরে গেছে। সকাল ছারা উপায় নাই। কি আর
করা, দুই বন্ধু মোটর সাইকেল নিয়েই রওনা দিলাম ঢাকায়। আমি
হৃদয়ের কোন সম্পর্ক আছে। আমি ঘুমাতে গেলে ঘুমাতে পারি না,
রাস্তায় হাটার সময় বিরবির করে কি যেন বলতে থাকি, বাসা
থেকে বের হওয়ার সময় বৃষ্টিদের বাসায় উঁকিঝুকি মারি ওকে
একটু দেখার আশায়। বুঝলাম আমি শ্যাষ।
এরই মধ্যে আমি চুয়েটে চান্স পেয়ে যাই। ঢাকায় হয়নি বলে মনে
তখন বিশাল ক্ষত। সবচেয়ে বেশি কস্ট হচ্ছিল বৃষ্টিকে দেখতে
পারব না ভেবে। ইচ্ছে ছিলো যাওয়ার আগে বৃষ্টিকে
ভালোবাসার কথা বলবো, কিন্তু আমার হৃদয়ের অপারেটিং
সিস্টেম থেকে বলতে লাগলো, ” আপনার বুকে যথেষ্ঠ পরিমান
সাহস জমা নেই, অনুগ্রহ পূর্বক রিচার্জ করে আবার আসুন,
ধন্যবাদ। ”
প্রতি সেমিস্টার শেষ করে সোজা ঢাকায় চলে যেতাম, কিন্তু
তখনো আমি সাহসের ফার্স্ট লেভেল পার করতে পারিনি।
টুকটাক কথা চলতো আমাদের, কিন্তু সাহস করে ভালোবাসি
শব্দটা বলতে পারতাম না। আমি তখন বুঝতে পারি যারা
সত্যিকারের ভালোবাসে , ভালোবাসার মানুষের কাছে
প্রথমবার এই শব্দটি বলা কতবড় দুষ্কর কাজ। কনকনে শীতের
মাঝেও ওকে দেখলে আমি ঘামিয়ে যেতাম। এভাবেই
লুকোচুরিতে চলতে থাকে দুটি মনের নিরন্তর ভালো লাগার
খেলা। কিন্তু হঠাৎ করেই সব কিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে
গেলো।
আমি তখন ফাইনাল দিয়েছি। দুইদিন পরে রেজাল্ট আসবে। আর
মাত্র দুইদিন পরে আমি গ্রাজুয়েট হতে যাচ্ছি ভাবতেই কেমন
যেন শিহরন জাগে গায়ে। এরই মধ্যে আমার মোবাইলে একটা
মেসেজ আসে। মেসেজে লিখা ছিলো, “কাল আমার বিয়ের
কথাবার্তা পাকা করবে। যদি ভালোবাসো ফিরে এসো; বৃষ্টি।”
আমি স্তদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। পাশে থেকে বন্ধু ইমন ঝুকে
পরে দিয়ে জিজ্ঞাসা করলো,” কিরে খিজ খাইলি কেন? কি
হইছে? ” আমি অস্ফুস্ট স্বরে শুধু বললাম ,” বৃষ্টির বিয়ে ।”
বন্ধু যে কত মহান হতে পারে আমি সেদিন হারেহারে বুঝতে
পেরেছিলাম। রাত সাড়ে চারটায় ইমন আমাকে নিয়ে
মোটরসাইকেল হাকিয়ে রওনা দিলো বাস কাউন্টারে। যেয়ে
দেখি লাস্ট বাস ছেরে গেছে। সকাল ছারা উপায় নাই। কি আর
করা, দুই বন্ধু মোটর সাইকেল নিয়েই রওনা দিলাম ঢাকায়। আমি
কিছুতেই বৃষ্টিকে হারাতে চাই না। ছোট বেলার ছোট ছোট সব
স্মৃতি মনে পরে যাচ্ছিল। কেউ যদি আমাকে রচনা লিখতে বলে
চাইল্ডহুড মেমরী নিয়ে তাহলে সাত পৃষ্টা জুড়েই থাকবে বৃষ্টির
কথা। সেই বৃষ্টিকে আমি হারাতে বসেছি !
সন্ধ্যায় ঠিক আগে আগে আমার বাসার কাছেই পৌছলাম। দৌড়ে
আমাদের বাসায় না যেয়ে সোজা বৃষ্টিদের বাসায় ঢুকলাম।
বাসা ভর্তি মেহমান। কিছু অচেনা লোক। আমি তখন হিতাহিত
জ্ঞানশূন্য। হাপাতে হাপাতে মুরব্বিদের সামনে যেয়ে
পাগলপ্রায় হয়ে সিনেমার স্টাইলে বলে ফেললাম,” এই বিয়ে
হতে পারে না। I Love Her From Childhood ! ”
পাশে তাকিয়ে দেখি আমার বাবাও বসে আছে। মুরুব্বিরা সব
একে অপরের দিকে তাকাতে শুরু করেছে। আমি পাগলের মত
কিসব বলে ফেলেছি। আজ এখানে নির্ঘাত কোন লঙ্কাকান্ড না
হয়ে যায় না। কিন্তু হঠাৎ করেই ঘরে হাসির রোল পরে গেলো।
কেউ হাসি থামাতে পারছে না। আমি ভাবলাম লং জার্নিতে
গায়ে মুখে কালি লেগেছে তাই হয়ত হাসছে, হাত দিয়ে গাল
ঘষতে লাগলাম। পরে যেয়ে জানতে পারলাম সেদিন বৃষ্টির
সাথে আমারই বিয়ের কথা হচ্ছিল।
পাশের ঘরের জানালায় বৃষ্টি তাকিয়ে ছিল। পা টিপে পেছন
থেকে যেয়ে ওর ঘাড়ে হাত রাখলাম। বৃষ্টি মৃদু কেঁপে উঠলো।
স্মৃতি মনে পরে যাচ্ছিল। কেউ যদি আমাকে রচনা লিখতে বলে
চাইল্ডহুড মেমরী নিয়ে তাহলে সাত পৃষ্টা জুড়েই থাকবে বৃষ্টির
কথা। সেই বৃষ্টিকে আমি হারাতে বসেছি !
সন্ধ্যায় ঠিক আগে আগে আমার বাসার কাছেই পৌছলাম। দৌড়ে
আমাদের বাসায় না যেয়ে সোজা বৃষ্টিদের বাসায় ঢুকলাম।
বাসা ভর্তি মেহমান। কিছু অচেনা লোক। আমি তখন হিতাহিত
জ্ঞানশূন্য। হাপাতে হাপাতে মুরব্বিদের সামনে যেয়ে
পাগলপ্রায় হয়ে সিনেমার স্টাইলে বলে ফেললাম,” এই বিয়ে
হতে পারে না। I Love Her From Childhood ! ”
পাশে তাকিয়ে দেখি আমার বাবাও বসে আছে। মুরুব্বিরা সব
একে অপরের দিকে তাকাতে শুরু করেছে। আমি পাগলের মত
কিসব বলে ফেলেছি। আজ এখানে নির্ঘাত কোন লঙ্কাকান্ড না
হয়ে যায় না। কিন্তু হঠাৎ করেই ঘরে হাসির রোল পরে গেলো।
কেউ হাসি থামাতে পারছে না। আমি ভাবলাম লং জার্নিতে
গায়ে মুখে কালি লেগেছে তাই হয়ত হাসছে, হাত দিয়ে গাল
ঘষতে লাগলাম। পরে যেয়ে জানতে পারলাম সেদিন বৃষ্টির
সাথে আমারই বিয়ের কথা হচ্ছিল।
পাশের ঘরের জানালায় বৃষ্টি তাকিয়ে ছিল। পা টিপে পেছন
থেকে যেয়ে ওর ঘাড়ে হাত রাখলাম। বৃষ্টি মৃদু কেঁপে উঠলো।
আজ ওকে অপ্সরীর মত দেখাচ্ছে। ওর গাল টিপে দিয়ে বললাম,”
এখনো দুষ্টুমী কমেনি তোমার?” লজ্জা রাঙা মুখ ঢাকতে আমার
বাহুডোরে এসে ধরা দিলো আমার স্বপ্নের অপ্সরী। দুহাতে
জরিয়ে নিলাম সারা জীবনের জন্য। আজও দুষ্টুমী কমেনি ওর
বরং ভালোবাসা বেড়েছে।
এখনো দুষ্টুমী কমেনি তোমার?” লজ্জা রাঙা মুখ ঢাকতে আমার
বাহুডোরে এসে ধরা দিলো আমার স্বপ্নের অপ্সরী। দুহাতে
জরিয়ে নিলাম সারা জীবনের জন্য। আজও দুষ্টুমী কমেনি ওর
বরং ভালোবাসা বেড়েছে।
लग रही थी
![]() |
| लग रही थी |
बारिश मुझे एक भारी चेहरे के साथ घूर रही थी। मुझे
अचानक, मैं चौंक गया और कहा, "मुझे
तुमसे प्यार करता हूँ घटना के अचानक में, मैं था
मैं एक मूर्ख बन गया हूं। इधर-उधर देखने पर मुझे कोई देख रहा था
या। किसी तरह, बारिश अगले कमरे में भाग गई
मैं अम्मू के पास गया। वहां की मां और वर्षा की मां की कहानी
कर रहा था मैं अम्मो की गली में जाता हूँ और रोता हूँ
मैंने दिया, “मम्मी कहती है कि बारिश हो या वह मुझसे प्यार करे।
मेरे बिना मैं नहीं रहूंगा। अब मेरा क्या होगा कितना है?
अच्छी लड़की। ”मैं रोया और रोया। मेरी
मेरी बात सुनकर दोनों महियासी महिलाओं ने रोक दिया
व्यस्त हँसी
मैं सात या आठ साल का था और बारिश पाँच के आसपास थी।
उस उम्र में मैंने सुकुमा रॉय या तीन जासूसों को पढ़ा
पूरे दिन बंगला और हिंदी में भारी समझदारी और बरसात
फिल्में देखने वाली बहुत ही रोमांटिक लड़की। गाने जब तुम मुझे देखते हो
उसने शुरू किया, "तुम आओ, तुम मुजको राई ..." बारिश का मौसम
मुझे व्यवहार पसंद नहीं है, लेकिन मेरे पास बारिश को रोकने का कोई तरीका नहीं है
नहीं था चौपाइयों के कैद जीवन में बारिश मेरा खेल थी
जीवनसाथी या सबसे अच्छा दोस्त कहा जा सकता है। जब मैं
मैं उसे हरक्यूलिस के अभियान की कहानी बताना चाहता था
इसके बजाय, मैं हिंदी फिल्मों की समीक्षा सुनता था। बहुत अच्छा
वह नाच सकता था, उसके हाथ-पैर नाचेंगे और वह नाचेगा। बीच में
मैं अपने गले के बीच में नृत्य करता था
यह उस उम्र में मेरे ज्ञान से परे था। एक बार दो सांप
मुझे नागिन का डांस देखने का भी सौभाग्य मिला।
मेरे जानेमन अमेजन को बारिश बहुत पसंद थी।
वह वर्षा को घर ले जाने के लिए काफी तैयार था। शायद
क्योंकि उसकी अपनी बेटी नहीं थी, इसलिए यह शातिर लड़की बहुत ज्यादा है
प्रेम करते थे कम उम्र से, मैंने देखा कि उनके घर में बारिश नहीं हुई
हम पहले से ज्यादा घर पर रहते थे। बीच में बरसाती बाबा
कभी-कभी वह कहता था, “अब से, यह घर घर है
परिवार तब बंधा होता है, जब आप घर पर होते हैं
माता-पिता को तब पता नहीं चलेगा। ”
लज्जित होने के बजाय उसने मेरी तरफ आधा इंच देखा
होंठों ने दो इंच की मुस्कान दी। उनकी हंसी का राज
टिनटिन श्रृंखला में मुझे अभी तक कोई सुराग नहीं मिला था।
यह देखते हुए कितने साल बीत जाते हैं। मैं तो हूँ
मैं दसवीं कक्षा में और कक्षा सात में था। फिर भी मुझे
उत्पीड़न बंद नहीं हुआ। और जब कोई मेरी तरफ देखता है
ऊपर देखते हुए, मैंने उसे एक कार्टून कार्टून की तरह देखा
ऐसा लग रहा था। यद्यपि वह अपने हाथों में लंबा था, लेकिन वह शरारत नहीं करता था। एक दिन
कोचिंग से पहले मैं कोचिंग में हूं। और वह कब एक लवलैटर है?
मुझे नहीं पता था कि मैंने इसे अपने डेस्क पर छोड़ दिया था। मेरी
पिताजी को मेरी खोज कभी याद नहीं रही लेकिन उन्हें याद है कि वह दिन कैसा था
मेरे घर जाने से इस घबराई लड़की का लवलैटर बच जाता है।
जब मैं घर लौटा, तो मैंने दो परिवारों को एकजुट देखा
बैठा है मम्मी ने लवलैटर को मेरी तरफ बढ़ाया।
पत्र के अंत में, एक छोटा सा पैच लिखें और कहें, "बेशक, आपका
प्यार की बारिश। ”मुझे इसके बारे में कुछ भी समझ नहीं आया
मैं रोया, मैंने थोड़ी देर बाद मेरे साथ बारिश देखी
जोर से रोया रोते हुए दोनों को देखा
एक पिता और दो मां इतनी हंसी कैसे कर सकते हैं?
मुझे अभी भी समझ नहीं आया।
इस बीच कुछ साल बीत जाते हैं। मैं कॉलेज में हूँ तो भविष्य में
व्यस्त इमारत निकिता और केल्विन की ईख के खाते हैं
सर को बॉक्स में दिखाएं और फिर निशान उठाएं और अधिक नहीं है
मैं लक्ष्य निर्धारित नहीं कर सका। अचानक, मेरा
उन्हें अपने जन्मदिन पर बारिश का उपहार देखकर याद आया।
यह कुछ ऐसा है जो मुझे कुछ समय के लिए परेशान नहीं कर रहा है
समझ में नहीं आया क्यों वह उस दिन उसे देखने के लिए इतनी उत्सुक थी।
और वह दोपहर मेरे जीवन का सबसे बड़ा दिल तोड़ने वाली घटना थी
इसे रिक्टर पैमाने पर मापा गया था, न कि आयामों पर
बिखर जाएगा
उस दोपहर छत पर बैठकर मैं फिर से बारिश के बारे में सोच रहा था
क्या आप बीमार हो गए? वरना सारा दिन लड़की मेरी तरफ से होती
वह अचानक कहां घूमता है? अचानक मैं देखता हूं
उनमें से एक लड़की थोड़ी दूर खड़ी थी
मैं वही देख रहा था। पढ़ने में लाल साड़ी,
होठों पर हल्की लाल रंग की लिपस्टिक, आँखों को ढेर सारा आईलैश, बाल
गले लगना लड़की को बहुत अच्छा लगा। अच्छा
मैंने देखा कि बारिश हो रही थी। मैं पूरी तरह से बेवकूफ हूं
मैं गया। इन दिनों बार-बार बारिश कितनी बड़ी हो गई है
पूरा मेला फैल गया है! मैं धीरे-धीरे पहुंचता हूं
मैंने कहा, "वर्षा, आज तुम्हें देखकर अच्छा लगा, तुम मन हो
एक अहदिल के आकाश से और आधा गोधूलि से है
राजकुमारी नीचे आ गई है ”; शर्म टमाटर की तरह चलती है
बारिश बच जाती है।
तब मेरे दरवाजे के पास बारिश नहीं हुई थी। किसी कारण से गलत
अगर मैं उसके पीछे गया, तो मुझे शर्म आएगी
होगा मुझे एक बार ऐसा लगा कि मैं इस लड़की के साथ हूं
हृदय का कोई संबंध नहीं है। जब मैं सोता हूं तो मैं सो नहीं सकता
जब आप सड़क पर चलते हैं, तो आप क्या कहते हैं, घर
घर से बाहर निकलते ही, मैं बारिश में बह गया
थोड़ा देखने की उम्मीद है। समझ लो कि मैं मोटा हूँ।
इसी बीच मुझे चुट में मौका मिला। ऐसा लगता है कि यह ढाका में नहीं था
तब एक बहुत बड़ा घाव था। बारिश देखना सबसे महंगा था
सोच भी नहीं सकते। जाने से पहले बारिश हो रही थी
प्यार की बात कर रहा हूं, लेकिन मेरे दिल में है
सिस्टम ने कहना शुरू कर दिया, "आपके सीने में पर्याप्त
कोई हिम्मत नहीं, कृपया रिचार्ज करें और वापस आएं,
धन्यवाद। "
हर सेमेस्टर मैं सीधे ढाका जाता, लेकिन
तब भी मैं साहस के पहले स्तर को पास नहीं कर पाया।
बात कम थी, लेकिन हम हिम्मत से प्यार करते हैं
शब्द नहीं कह सका मैं तो समझता हूं कि कौन है
उन लोगों को जो वास्तव में प्यार करते हैं, प्यार करते हैं
पहली बार शब्द कहना कितना कठिन है। कोंकण में सर्दी
जब मैं उसे देखता तो भी मुझे पसीना आ जाता। ऐसा ही है
दो मन छिपते रहे
Was looking
![]() |
| Was looking |
The rain was staring at me with a heavy face. Me
Suddenly, I was shocked and said, "Me
Love you Immediately in the suddenness of the incident, I was
I have become a fool. Looking around, I saw someone watching
Or? Somehow, the rain ran off to the next room
I went to Ammu. The story of the mother and the mother of the rain there
Was doing I go to Ammo's lane and cry
I gave, “Mommy says rain or she loves me.
Without me I will not live. What will happen to me now How much is that
Good girl. ”I mourned and cried. To me
The two Mahiyasis women stopped listening to me
Busy laughing
I was seven or eight years old and the rain was around five.
At that age I read Sukuma Roy or three detectives
Huge wise and rainy all day Bangla and Hindi
Very romantic girl watching movies. Songs when you see me
He started, "You come, you Mujko rai ..." rainy season
I do not like the behavior, but I have no way to stop the rain
Was not The rain was my play in the captive life of the four-cornered
Spouse or best friend can be called. When i
I wanted to tell him the story of Hercules's expedition
Instead, I used to listen to reviews of Hindi movies. Very good
He could dance, his hands and feet would dance and he would dance. In between
I used to dance in the middle of my throat
It was beyond my knowledge at that age. Two snakes once
I also had the privilege of watching Nagin's dance.
My sweetheart amazon loved the rain very much.
He was quite willing to take the rain home. Maybe
Because she didn't have her own daughter, this vicious girl is too much
Used to love From an early age, I saw no rain in their house
We used to stay at home more than ever. Rainy dad in the middle
At times he used to say, "From now on, this house is home
Family is tied up, when you are absolutely at home
The parents will not know then. "
Instead of being ashamed, he looked at me half an inch
The lips gave a smile of two inches. The secret of his laughter
I had no clue at the Tintin series yet.
This is how many years are spent watching. I am then
I was in tenth grade and in the class seven. Yet me
The harassment did not stop. And when one looks at me
Looking up, I saw him like a cartoon cartoon
It seemed. Though he was tall in his hands, he did not suffer mischief. One day
Before coaching I am in coaching. And when is that a Loveletter?
I didn't know I had left it on my desk. To me
Dad never remembers my search but he remembers what that day was like
Going to my house rescues this terrified girl's Loveletter.
When I returned home, I saw two families united
Is sitting Mommy extended the Loveletter towards me.
At the end of the letter, write a small patch and say, "Of course, yours
Rain of love. ”I didn't even understand anything about it
I cried, I saw the rain with me a little later
Cried loudly The two watched as they cried
How can a father and two mothers laugh so much?
I still do not understand.
In the meantime a couple of years pass. I'm in college then future
Busy building Nikita and Calvin are the scaled-in reed accounts
Show the sir in the box and then raise the mark is no more
I could not set the goal. All of a sudden, mine
He remembered seeing the gift of rain on his birthday.
That is something he has not been bothering me with for a while
Did not understand Why he was so eager to see her that day.
And that afternoon was the biggest heartbreak of my life
It was measured on the Richter scale, not the dimensions
Will be scattered
That afternoon sitting on the roof I was thinking of the rain again
Did you get sick? Otherwise, the girl would be by my side all day
Where does he suddenly turn around? Suddenly I see
One of the girls was standing a little farther away
I was looking at that. Red saree in reading,
Light red lipstick on the lips, a lot of eyelash to the eyes, hair
The hug looked very nice to the girl. Good
I noticed that it was rain. I am completely stupid
I went. How big the rain has become these days, over and over again
The whole fair is gone! I approach slowly
I said, "Rain, it's nice to see you today, mind you
One is from the sky of Ahadhil and half from Twilight
The Princess has come down "; Shame runs like a tomato
The rain escapes.
Then there was no rain near my door. For some reason wrong
If I went after him, I would be ashamed
Would have I once felt like I was with this girl
The heart has no relation. I can't sleep when i sleep
What do you say when you walk down the street, home
On leaving the house, I sneaked into the rain
Hoping to see a little. Understand that I am fat.
In the meantime I got a chance in Chute. Looks like it wasn't in Dhaka
Then there was a huge wound. The rain was the most costly to see
Can't think. It was raining before going
Speaking of love, but operating in my heart
The system started saying, "Enough of your chest
No courage, please recharge and come back,
Thanks. "
Every semester I would go straight to Dhaka, but
Even then I could not pass the first level of courage.
The talk was short, but we love the courage
Could not say the word I then understand who
To the people who truly love, love
How daunting it is to say the word for the first time. Winter in Konkan
Even when I saw him, I would sweat. That's how
The two minds continued in hiding



1 Comments
👍👍👍👍👍👍 good
ReplyDelete